ভাঙ্গুড়ায় পুলিশ ও সাংবাদিককে  মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নি*ষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা

ভাঙ্গুড়ায় পুলিশ ও সাংবাদিককে  মাসোয়ারা দিয়ে চলছে নি*ষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা

বিকাশ কুমার ভাঙ্গুড়া (পাবনা) পতিনিধি

প্রশাসনের চোখের ডগাতে প্রকাশ্যে চলছে লাখ লাখ টাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের রমরমা ব্যবসা। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুলিশ ও সাংবাদিককে মাসোয়ারা দিয়ে নির্বিঘে চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যবসা । ঢাকা থেকে ট্রাক যোগে বিপুল পরিমান পলিথিন  নিয়ে এসে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রিয় করছেন বছরের পর বছর। ভাঙ্গুড়া  উপজেলা প্রশাসন দৃশ্যমান  থাকলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননি । এই নিষিদ্ধ ব্যবসা করে যাচ্ছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা বাজারের সুরুজ ও ইজাজুল নামের দুই পলিথিন ব্যবসায়ী। আর নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছেন স্থানীয় কথিত এক  সাংবাদিক ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের নবগঠিত সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন  ও ভাঙ্গুড়া থানার এক উপ পরিদর্শক মোঃ আকরাম হোসেন  ব্যবসায়ীর  তাদের নিয়মতি মাসোয়ারা দেওয়ার স্বীকারোক্তি মূলক একটি অডিও রেকর্ড দৈনিক আলোকিত নিউজ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

জানা গেছে, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে কথিত ওই সাংবাদিক মাসে ৮০০ টাকা ও পুলিশ নিচ্ছেন ১০০০ টাকা। কেনাকাটায় ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশের ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যাগ। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন পলিথিন বিক্রয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন এখন বিক্রয় ও ব্যবহার প্রকাশ্যে আরও বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যত্রতত্র ফেলে রাখা পলিথিন ড্রেনে ও পানির লাইনে পড়ে জলজট সৃষ্টি করে কৃষকের আবাদ জমি ও মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে । পাশাপাশি পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ-১৯৯৫ পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনকল্পে প্রণীত আইনেও সরকার নিষিদ্ধ করেছেন পলিথিন। এই আইনে পলিথিন উৎপাদন বিপণন ও বাজারজাত কারীদের জরিমানার বিধানও সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার হাসপাতাল গেট এলাকার একতা ট্রান্সপোটের মাধ্যমে ঢাকা চকবাজার থেকে আসছে এসব লাখ লাখ টাকার নিষিদ্ধ পলিথিন। ভাঙ্গুড়া বাজারের বেশির ভাগ পলিথিন অষ্টমনীষা বাজার পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুলের গোডাউনে মজুদ করে রাখা হয়। মাঝে মাঝে  তারা ঢাকা থেকেও সরাসরি ট্রাক যোগে অষ্টমনিষায় পলিথিন নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহের কাজ করে আসছেন পলিথিন ব্যবসায়ী মো: সুরুজ আলী ও ইজাজুল এছাড়াও তারা খুচরা হিসেবে কিছু পলিথিন পিকাব,অটোভেন,সিএনজির সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছেন। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ আছে উপপরিদর্শক মোঃ আকরাম হোসেন মাদক ও জুয়ার সাথে সংশ্লিষ্ঠদের নিকটদের নিকটও এমন বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন।

ঘটনার বিষয়ে পলিথিন ব্যবসায়ী সুরুজ আলী মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক  সিরাজুল ইসলাম আপন নামের এক ব্যক্তি ও তার ব্যবস্থাপনায় ভাঙ্গুড়া থানার এক উপ-পরিদর্শক মোঃ আকরাম হোসেন  মাসে মাসে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন। তারাই আমাকে এই ব্যবসায় সাহস যুগিয়েছেন। এখন আপনি যদি বলেন তবে আমি এই ব্যবসা বাদ দিয়ে দিব। তবে দয়াকরে একটু সময় দিতে হবে অনেক দিনের ব্যবসা আমার না হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

তবে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার উপপরিদর্শক আকরাম হোসেন বলেন, তার নাম করে কেউ টাকা পয়সা নিতে পারেন। তবে তিনি তার সাথে জড়িত নন। 

ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন বিষয়টি তার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *