কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর মাতিয়ে গেলো ব্যারিষ্টার সুমন ফুটবল একাডেমী
জুয়েল রানা:(কুষ্টিয়া প্রতিনিধি)
২৮ শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর এক নতুন ফুটবল ইতিহাসের স্বাক্ষী হলো। বর্তমান সময়ের সমগ্র বাংলাদেশের সবথেকে আলোচিত ফুটবল একাডেমী ও সোস্যাল মিডিয়ায় সবার কাছে পরিচিত মুখ ব্যারিষ্টার সুমন ফুটবল একাডেমী বনাম কুষ্টিয়া সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের মধ্যেকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দেখতে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলা ঝিনাইদহের শৈলকুপা,হরিণাকুন্ডু ও চুয়াডাঙ্গারর আলমডাঙ্গা কুষ্টিয়া দৌলতপুর,ভেড়ামারা ও কুমারখালী,খোকসা থেকে সকাল থেকেই হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দর্শকদের উপচেপড়াভীড় লক্ষ্য করা যায়।
হরিণাকু্ন্ডু থেকে খেলা দেখতে আসা মিজানুর রহমান তিনি পেশায় একজন ব্যাংকার তিনি বলেন আমি ব্যারিষ্টার সুমনকে সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক দেখেছি তাই তাকে সামনাসামনি দেখতে সকালেই মাঠে আসছি। বিকাল তিনটায় প্রথম ম্যাচ ঢাকা লইয়ার্স ক্লাব বনাম হরিনারায়ণপুর ধুমকেতু একাদ্বশের ম্যা চ শুরু পূর্বেই দেখা যায় ধুমকেতু একাদ্বশের খেলোয়ারেরা ব্যান্ড পার্টির সাথে তাদের টিম ও ঢাকা লইয়ার্স ক্লাব একসাথে মাঠে প্রবেশ করে। প্রথম ম্যাচে ঢাকা লইয়ার্স ক্লাবকে ১ গোলে পরাজিত করে বিজয়ী হয় হরিনারায়ণপুর ধুমকেতু একাদ্বশ। ঢাকা লইয়ার্স ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় হাফে মাঠে নামে ব্যারিষ্টার সুমন। তিনি মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক হাতে তালি ও সুমন ভাই সুমন ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই শুরু হয় বহুল কাঙ্খিত ম্যাচ ব্যারিষ্টার সুমন একাডেমী বনাম কুষ্টিয়া সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের মধ্যেকার ম্যাচ সেই ম্যাচেও ব্যারিষ্টার সুমনকে খেলতে দেখা যায়। এবং সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার ব্যারিষ্টার সুমন একাদ্বশকে ১ গোলে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। এই প্রীতি ম্যাচের একক আয়োজক ও ঢাকা লইয়ার্স ক্লাবের অধিনায়ক ঢাকা সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি বিপু বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবীগণ শরীরচর্চা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, মাদক মুক্ত দেশ গঠন, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং সুস্থ বিনোদনের জন্য ফুটবল খেলে থাকি।
ইতোমধ্যে ২০২২ সালে মরক্কোতে আইনজীবীগণের বিশ্বকাপ (মুন্ডিয়াভোকেট) টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে, এবং স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আইনজীবীগণের মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল এর বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দিই এবং সাতটি জেলায় ঢাকা লইয়ার্স ক্লাব প্রীতি ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছে, তাহারই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন এবং মাঠে যে এতো দর্শক হবে আমি তা কল্পনাও করতে পারি নি এমন আয়োজন করতে পেরে আমি অনেক খুশি এবং ভবিষ্যতে এলাকার ছেলেদের খেলার উন্নয়নের জন্য যা করতে হয় আমি করবো।
খেলা শেষে ব্যারিষ্টার সুমন তার বক্তব্য বলেন আমি ফুটবল যে গণজোয়ার তুলেছি তা শেষ না দেখে আমি থামবো না, যদি আমি কুষ্টিয়ায় ফুটবল খেলতে না পেরে আমার মৃত্যু হতো তাহলে আমার জীবনে অপূর্ণতা থেকে যেতো কুষ্টিয়ায় বিপুর আয়োজনে আমি খেলতে পেরে আমি অনেক খুশি।
এছাড়াও তিনি বলেন একদিন কুষ্টিয়া পুরো বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। তিনি আরও আয়োজক বিপু ও স্থানীয় আওয়ামীলিগ,যুবলীগ, প্রধান শিক্ষক চেয়াম্যান ও সেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার কুষ্টিয়ায় ৪৮ তম সেতু উদ্বোধনের কথাও বলেন। উক্ত ম্যাচ দেখার অতিথি ছিলেন হাইওয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিষ্টার সুমনের বন্ধু ইব্রাহিম খলিলুর, সদর উপজেলা যুবলীগের আবু তৈয়ব বাদশা, ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সভাপতি মো মহি উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মো ফারুক হোসেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট,ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ,ছাত্রলীগের সদর উপজেলা সভাপতি আদ্বিপুজামান সংগ্রাম সহ স্থানীয় আরও অনেকে। খেলাটি পুরষ্কার বিতরণ ও খেলার সভাপতি আব্দুল বারী বিশ্বাসের সমাপনী বক্তব্যর মাধ্যমে শেষ হয়।