টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন 

নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: 

হবিগঞ্জ ৪ আসনের নবনির্বাচিত  সংসদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি ) সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌছান এবং টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। সুমন বলেছেন, ‘একজন এমপি চাইলে একজন এলাকার মানুষের ভাগ্য কতটা পরিবর্তন করতে পারে, সেটা দেখাতে চাই। ‘আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট পৌর শহর ঘেষা মরা নদীর ময়লা পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কাজ। তারপর অন্যান্য পরিবর্তনগুলো আমি সাধন করব। আমার পুরো সময়টাই (৫ বছর) চমকের ওপর থাকবে। এটা আমি দেখাব যে, একজন এমপি চাইলে একটা এলাকার মানুষের ভাগ্য কতটুকু পরিবর্তন করতে পারে।

ফুটবল প্রসঙ্গে এই নতুন সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার চুনারুঘাট-মাধবপুর এলাকায় ছোট ছোট প্রায় একশ ফুটবল মাঠ বানাতে চাই। ফুটবল খেলাটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং সংসদে ফুটবল নিয়ে কথা বলতে চাই। কারণ, বাচ্চাদের ফুটবল মাঠে নিয়ে না গেলে মাদক ও মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারবেন না। এজন্য ফুটবলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর বাফুফেকে যতটুকু প্রেসারে রাখা যায় ততটুকুই প্রেসারে রাখতে চাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক  সুমন আরও বলেন,  এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ করে  সকালে চলে আসছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর ভিত্তি করে নিজেকে সবসময় দাবি করে বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এজন্য উনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েই আমি আমার কাজ শুরু করতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব। 

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *