ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমি ধ্বং*স করে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি

বিকাশ কুমার ভাঙ্গুড়া ( পাবনা) প্রতিনিধি 

সরকারি বা কৃষি অফিসের অনুমোদন ছাড়াই পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটি কেটে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে মাটি কেটে ফসলি জমি ধ্বংস করা হলেও অজ্ঞাত কারণেই প্রশাসন নির্বিকার।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে, ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত আক্কেল খা এর ছেলে শফি খা এর ফসলি জমিতে, দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল মৌজায়, পার—ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া মৌজায় অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। দিনে এবং রাতে এস্কেভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার কয়েকটি ইটের ভাটায়। কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীর মাটিও। ট্রাক ও ট্রলিযোগে কর্তনকৃত মাটি পরিবহণ করায় ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার—ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া মৌজার আলহাজ¦ মোঃ শওকত আলীর বাড়ীর দক্ষিণ দিকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাঠের ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এবং নৌবাড়িয়াতেও সেই একই অবস্থা।  স্পটে অনুমোদন ছাড়াই মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে গত সাতদিন ধরে। কয়েকটি মিনি ট্রাক যোগে মাটি যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটের ভাটায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফসলি জমির মালিকরা স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করে মাটি বিক্রি করছে। মাটি বহনকারী বিভিন্ন যানবাহনের দাপটে রাস্তাগুলোর ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথ চলাচলকারী সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সূত্র মতে, প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়। প্রতি মিনি ট্রাক ভর্তি মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকায়। মাটি বহন করার সময় আশপাশের জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানোর পর কেউ কেউ পুকুর খনন বন্ধ করে দেন। কিছুদিন পরে আবার শুরু হয়। এভাবেই চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন আর মাটি বিক্রির উৎসব।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ তাসমিয়া আক্তার রোজি কে, একাধিকবার মুঠোফোনের মধ্যেমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাহী মহোদয়কে অবগত করবো, তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরাফাত হোসেন দৈনিক আলোকিত নিউজকে জাজান যে, এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না,  বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *